বুদ্ধ ধর্ম বিশ্বের শান্তির ধর্ম

(জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক সর্ব প্রকার রোগ ব্যাধি উপদ্রভ থেকে মুত্তি হয়ে নির্বাণ যাবার চিত্ত উৎপত্তি হোক)

চিত্ত দমন




        চিত্ত দমন
(১) বু্দ্ধের শাসনে জন্ম করিয়া গ্রহণ,
দুঃখকে করিয়া ভয়, মুক্তির কারণ।
বুদ্ধবাণী অনুসরি দৃঢ় বীর্য বলে,
প্রতিজ্ঞা করেন যোগী, কভু নাহি টলে।
অপ্রাপ্ত মার্গ পার নিশ্চয় নিশ্চয়,
অলব্ধ জ্ঞানকে লাভ করিব নিশ্চয়।
অপ্রত্যক্ষ ফলে হবে প্রত্যক্ষ আমার,
আছে মোর পুরুষের বীর্য চমৎকার।
এই বল এই শক্তি প্রয়োগ করিয়া,
করিব নির্বাণ লাভ পিছু না হটিয়া।
বিশেষ রূপেতে জ্ঞান লভিবার তরে,
বিদর্শন জ্ঞান আছে ভব মুক্তি তরে।
(২) চিত্তের চাঞ্চল্য আর উপদ্রব যত,
করিয়া বর্জন যোগী হয় ধ্যানে রত।
দাড়ানো, গমনে, শুইতে, বাসিতে,
সতত রাখিবে স্মৃতি সর্ব অবস্থাতে।
যেই ক্ষণে যেই চিত্ত হইবে উদিত,
সেই ক্ষণে সেই স্মৃতি করিবে নিয়ত।
নিজের বাধ্য হলে চিত্ত যথা ইচ্ছা মত,
চালাও মোক্ষের দিকে দান্ত অশ্বমত।
অবাধ্য চিত্তকে বাধ্য করিবার তরে,
বিদর্শন ভাবনা কর, মাহাশক্তি ধরে।
নির্জন স্থানে থাকি হলে স্মৃতি রত,
নিশ্চয় লভিবে জ্ঞান যথা ইচ্ছা মত।
(৩) চঞ্চল যথেচ্ছাচারী দুর্নিবার মন,
দমন যে করে তারে সুখী সেই জন।
কুটিল যথেচ্ছাচারী চিত্ত মানবের,
কাহারো ( মূর্খের) নাহিক সাধ্য জানে গতি এর।
তাই সদা লক্ষ্য রাখ চিত্তের উপর,
সুরক্ষিত চিত্ত অতি সুখের আকর।
দুরাগামী একাচারী অশরীরি মন,
করিছে হৃদয়রূপ গুহায় শয়ন।
পার যদি হেন শত্রু করিতে দমন,
মারের বন্ধনে আবদ্ধ হবে না কখন।
সতত অস্থিরচিত্ত জানে না স্বাধর্ম,
হৃদয়ে প্রসাদগুণ নাহি আছে যার।
(৪) পূর্ণ প্রজ্ঞা লাভ কভু নহে তার কর্ম,
অরহত্ব লভিতে তার নাই অধিকার।
বাসনাবিহীন ক্রোধ-দ্বেষাদি বর্জিত,
পুণ্য আর পাপ এই দুইয়েরর অতীত।
প্রকৃত জগৎ বলি আমি হেন জনে,
সতত থাকেন তারা নিরাতক মনে।
ইষুকার ঋজু করে সুধীগণে।
নয়ন গোচরীভূত চিত্ত কভু নয়,
সুনিপুণ, যথা ইচ্ছা নিপতিত হয়।
এহেন চিত্তকে যারা করেন দমন,
মারের বন্ধন হতে তারা মুক্ত হন।
সাধু---- সাধু ---- সাধু---

No comments

Powered by Blogger.